• Recent post

    ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন : কি ও কেন ?


    ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন :কি ও কেন ?



    ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ জাতীয় সংসদে পাস হয় জাতীয় নিরাপত্তা বিল ২০১৮। বহুল আলোচিত এ বিলে ৮ অক্টোবর ২০১৮ স্বাক্ষর করেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ। রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের মাধ্যমে বিলটি আইন হিসেবে কার্যকর হয়। আইনে ডিজিটাল মাধ্যমে আক্রমণাত্বক,মিথ্যা বা ভীতি প্রদর্শক তথা-উপাত্ত প্রকাশ,মানহানিকর তথ্য প্রকাশ,ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত,আইনশূঙ্খলার অবনতি ঘটানো,অনুমতি ছাড়া ব্যক্তি তথ্য সংগ্রহ ও ব্যবহার ইত্যাদি বিষয়ে অপরাধে জেল জরিমানা বিধান রাখা হয়েছে।  
    বিভিন্ন পক্ষের আপত্তি,উদ্বেগ ও মতামত উপেক্ষা করে প্রণীত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের উল্ল্যেখযোগ্য বিষয়সমুহ- 

    ১: বাংলাদেশ বা বিশ্বের যে কোন দেশে বসে বাংলাদেশের কোন নাগরিক যদি এ আইন লঙ্ঘন করেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে এ আইনে বিচার করা যাবে।
     2: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিচার হবে বিশেষ ট্রাইব্যুনালে। অভিযোগ গঠনের ১৮০ কার্যদিবসের মধ্যে মামলার নিষ্পত্তি করতে হবে। তবে এর মধ্যে করা সম্ভব না হলে সর্বোচ্চ ৯০ কার্যদিবস পর্যন্ত তা বাড়ানো যাবে।

    ৩: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপরাধ ও সংক্রান্ত প্রায় ২০টি ধারার মধ্যে ১৪টি জামিন অযোগ্য, ৫টি জামিন যোগ্য ও একটি সমঝোতা সাপেক্ষ।

    ৪: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে নুন্যতম শাস্তির মেয়াদ ১ বছর কারাদন্ড ও সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদন্ড। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে শাস্তির মেয়াদ ৪-৭ বছর কারাদন্ড।

    উল্লেখ্য :
      ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন দাবিতে ১৫ অক্টোবর ২০১৮ জাতীয় সম্পাদক পরিষদের ব্যানারে দেশের শীর্ষস্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের সম্পাদকরা প্রথমবারের মানববন্ধন করেন। তারা এ আইনের ৮টি ধারা নিয়ে আপত্তি জানায়। আপত্তি করা ধারা সমুহ- ৮,২১,২৫,২৮,২৯,৩১,৩২,৪৩,ও ৫৩।

    No comments

    Author Details

    prozokte news is a blog site for knowing all kinds off tips like blogging,online income,adsense,health tips,facebook tricks,seo and many more.