চুলের যত্নে আলো : চুলপডা বন্ধ ও নতুন চুল গজাতে আলুর রস
আলু বহুল প্রচলিত একটি উদ্ভিজ খাদ্য। এটি কন্দজাতীয় (tuber) এক প্রকারের সবজি, যা মাটির নিচে জন্মে। উচ্চ পুষ্টিমান এবং সহজে ফলানো ও সংরক্ষণ করা যায় বলে এটি বিশ্বের সবচেয়ে প্রচলিত সবজিগুলোর মধ্যে অন্যতম। এই খাওয়ার ফলে যেমন আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী তেমনি এর রস চুলের ব্যবহারের ফলে চুল হয় ঘন মজবুত । তাহলে কথা না বাড়িয়ে চলুন যেনে নেয়া যাক এর উপকারীতা, প্রস্তুত প্রণালি ও ব্যবহার।
আলুর রসের উপকারিতা: চুলের গোড়া শক্ত এবং মজবুত করে চুল পড়া কমাতে আলুর রস দারুন কাজ করে। আলুর রস চুলের অতিরিক্ত তেল দুর করে চুলের দ্রুত বূদ্ধি হতে সাহায্য করে। আলুর রসে রয়েছে ভিটামিন, ফাইভার, ও প্রোটিন যা চুল কে করে আরও বেশি ঝলমলে। নিয়মিত ব্যবহারে চুলের খুশকি দুর হওয়ার পশাপাশি চুলে আনে বাড়তি উজ্বলতা। এটি চুলের রুক্ষতা দুর করে চুলের ভেঙ্গে যাওয়া রোধ করে।
প্রস্তুত প্রনালী: প্রথমে চুলের লম্বা এবং ঘনত্ব অনুযায়ী ১/২ টি আলু নিন। তারপর ভাল করে আলুর খোসা ছাড়িয়ে নিন। সঠিকভাবে খোসা ছাডানো হয়ে গেলে আলুটি ঠুকরো ঠুকরো করে কেঠে নিন। এবার আলু গুলোকে ব্ল্যান্ডারে ঢেলে ভাল করে ব্ল্যান্ড করে নিন। ব্ল্যান্ড করার পর ছাকনিতে ঢেলে রসগুলোকে আলাদা করে একটি বোতলে সংরক্ষণ করে রাখুন।
ব্যবহার: প্রথমে আলুর রস হাতে নিয়ে চুলের গোড়ায় লাগান। তারপর আস্তে আস্তে ভালকরে ৫ মিনিট ম্যাসাজ করুন। এবাবেই ২-৩ ঘন্টা রেখে দিন। তারপর শ্যাম্পু দিয়ে ভালকরে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে আপনার চুল পড়া কমে যাবে । ভাল ফলাফল পেতে সপ্তাহে ৩-৪ দিন ব্যবহার করুন।
উপদেশ: একটি কথা সবসময় খেয়াল রাখবেন সব উপাদান সবসময় সবার ত্বকে মানায় না। তাই যে কোন নতুন উপাদান ব্যবহারের আগে অল্প করে ব্যবহার করে দেখে নিন। যদি কোন রকম সমস্যা না হয় তবেই ব্যবহার করবেন। আর যদি আপনার ত্বকে এ্যালার্জি অথবা অন্য কোন সমস্যা থাকে তবে বিষেঙ্ ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া নতুন কোন উপাদান ব্যবহার না করাই ভাল।
No comments